অবশিল্পায়ন কাকে বলে ? অবশিল্পায়নের কারণ ও ফলাফল

সুপ্রিয় বন্ধুরা আজকের এই পর্বে আলোচনা করা হলো অবশিল্পায়ন কাকে বলে এবং অবশিল্পায়নের কারণ ও ফলাফল সম্পর্কে।

অবশিল্পায়ন কাকে বলে :

ভারতবর্ষে ব্রিটিশদের রাজনৈতিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পূর্বে বাংলা তথা ভারতে কুটিরশিল্প যথেষ্ট পরিচিত ছিল। বাংলা, লক্ষ্ণৌ, বারাণসী, আগ্রা, মুলতান, সুরাট, লাহোর, বুরহানপুর,ব্রোচ, আমেদাবাদ, মাদুরাই, বিশাখাপত্তনম ইত্যাদি জায়গায় ছিল বস্ত্রশিল্পের মূল কেন্দ্র। বস্ত্রশিল্প ছাড়াও দেশের নানা প্রান্তে ধাতুশিল্প, অস্ত্রশিল্প, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, মৃৎশিল্প, চর্মশিল্প প্রভৃতির যথেষ্ট সমৃদ্ধি ঘটেছিল। বিদেশের বাজারে ভারতের শিল্পজাত পণ্যের চাহিদাও ছিল তুঙ্গে।

ব্রিটিশ সরকার ভারতের রাজনৈতিক কার্যক্ষমতা দখল করার পর দীর্ঘদিন ধরে ভারতে শিল্পায়ন বিরোধী নানা প্রকারের নীতি গ্রহণ করে। তারা ইংল্যান্ডের শিল্প-কারখানায় উৎপাদিত পন্যসামগ্রীর দিয়ে ভারতের বাজারগুলি দখল করে নেয় এবং ভারতকে একটি কাঁচামাল রপ্তানিকারক দেশে চিহ্নিত করে। এর ফলে অষ্টাদশ শতকের মধ্যভাগ থেকে ভারতের চিরাচরিত সমৃদ্ধ কুটিরশিল্প ধ্বংসের মুখোমুখি হয়। এই ঘটনা ইতিহাসে “অবশিল্পায়ন” বা De-industrialisation নামে অভিহিত।

অবশিল্পায়নের কারণ :

অবশিল্পায়ন হলো শিল্পায়নের বিপরীত বা শিল্পের অধোগতি। সব্যসাচী ভট্টাচার্যের মত অনুযায়ী, যদি দেশের মানুষ শিল্পকর্ম ছেড়ে চাষ-আবাদে নিজেদের জীবিকা অর্জন শুরু করে অথবা জাতীয় আয়ে কৃষিজ অংশ বৃদ্ধি পেতে থাকে ও শিল্পজ অংশ হ্রাস পেতে থাকে তাকে অবশিল্পায়ন বলে। অব শিল্পায়নের ফলে ভারতের অর্থনৈতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হয়। অনেক ঐতিহাসিক ভারতীয় হস্তশিল্পের বিপর্যয়কে অবশিল্পায়ন বলেছেন।

ব্রিটিশ শাসনে ভারতের অবশিল্পায়ন সম্পর্কে প্রথম পর্বে দাদাভাই নৌরজি, মহাদেব গোবিন্দ রাণাডে, রমেশচন্দ্র দত্ত প্রমুখ জাতীয়তাবাদী নেতা এবং পরবর্তীসময়ে রজনী পামদত্ত, গ্যাডগিল, নরেন্দ্রকৃয় সিংহ, অমিয় বাগচি, বিপান চন্দ্র, প্রমুখ ঐতিহাসিক আলোকপাত করেছেন। ঔপনিবেশিক ভারতে অব শিল্পায়নের বিভিন্ন কারণগুলি নিম্নে সুন্দর ভাবে উল্লেখ করা হল-

১. কাঁচামালের রপ্তানি : ভারতীয় শিল্পের ধ্বংসের সাথে সাথে ভারত থেকে ইংল্যান্ডে কাঁচামালের রপ্তানি আরম্ভ হয়। ভারত ইংল্যান্ডের কলকারখানার খোলা বাজার এবং কাঁচামাল সরবরাহের উৎসে পরিণত হয়। ভারতবর্ষ থেকে তুলো, চা, রেশম, নীল, কফি প্রভৃতি ইংল্যান্ডে রপ্তানি হতে থাকে। এই ভারতীয়  কাঁচামাল বিলেতে শিল্পের অগ্রগতিতে সাহায্য করে। ফলে কাঁচামালের অভাবে দেশীয় শিল্পের অগ্রগতি ব্যাহত হয়।

২. সূতিবস্ত্রে শুল্ক আরোপ : ইংল্যান্ড সহ ইউরোপের নানা দেশে ভারতের বস্ত্রশিল্পের ব্যাপক চাহিদা ছিল। ড্যানিয়েল ডেফোর লেখায়- ইংল্যান্ডের প্রতিটি পরিবারের বসার ঘরে, শয়নকক্ষে, সব জায়গায় ভারতীয় বস্ত্র বিরাজমান করেছে। ভারতীয় বস্ত্রের চাহিদা কমানোর জন্য বিলেতি বস্ত্রের চাহিদাবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ সরকার ভারত থেকে ব্রিটেনে রপ্তানি করা সুতিবস্ত্রের ওপর উচ্চহারে শুল্ক চাপায়। এছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও অনুরূপ শুল্ক চাপানো হয়। এর ফলে ব্রিটেনে ভারতীয় সুতিবস্ত্রের মূল্য অস্বাভাবিক বেড়ে গেলে এর চাহিদা কমে যায়।

৩. শিল্পবিপ্লব : অষ্টাদশ-শতকের মধ্যভাগে ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লবের সূচনা হয়। যন্ত্রের দ্বারা অনেক কম সময়ে অনেক উন্নত কোয়ালিটির ও সস্তা শিল্পপণ্য, বিশেষ করে সুতিবস্ত্র ইংল্যান্ডের কলকারখানাগুলিতে উৎপাদন হতে থাকে। ব্রিটিশ শিল্পপতিদের চাপে সরকার ভারতের দরজা ইংল্যান্ডের বণিকদের কাছে খুলে দিতে বাধ্য হয়। ১৭৯৩ সালে তারা কোম্পানির সাহায্যে ৩০০০ টন পণ্য ভারতে পাঠানোর অধিকার পায়। পরবর্তীকালে এর পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পায়।

১৮১৩ সালে আইনের মাধ্যমে কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যের অবসান ঘটলে ইংল্যান্ডের অন্য বণিকরা ভারতে আসতে থাকে। তারা এদেশে জমিজমা কিনে তাতে নীল, তামাক, কফি, রবার ইত্যাদির চাষাবাদ শুরু করে এবং কাঁচামাল ইংল্যান্ডে রপ্তানি করতে থাকে। ১৮৫৩ সালে ভারতে রেলব্যবস্থার প্রচলন হলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্রিটিশ পণ্যাদির অনুপ্রবেশ ঘটে। এসব পণ্যে ভারতের বাজার দখল করে নিলে দেশের বাজারে দেশীয় পণ্য বিক্রি দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

৪. অবাধ বাণিজ্যনীতি : ব্রিটিশ সরকার ১৮১৩ সালের সনদ আইনের দ্বারা ভারতে কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যের অবসান ঘটায়। যার মাধ্যমে সকল ইংরেজ ব্যবসায়ীদের জন্য ভারতের বাণিজ্যের দরজা খুলে যায় এবং দেশীয় শিল্প বাণিজ্যে তাদের একাধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। তাদের মাধ্যমে সস্তা দরের বহু পরিমাণ বিলাতি পণ্য ভারতীয় বাজারে আসলে ভারতীয় শিল্পপতিদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে।

৫. অসম শুল্কনীতি : কোম্পানি নিজে নানা পণ্যসামগ্রীর ওপর শুল্ক ছাড়ের সুযোগ নিলেও ব্রিটিশ সরকার বিভিন্ন দেশীয় শিল্পপণ্যের ওপর বিপুল শুল্ক আরোপ করে। ঐতিহাসিক B.D. বসু তাঁর “Ruin of Indian Trade and Industries” গ্রন্থে ভারত থেকে ইংল্যান্ডে রপ্তানি করা নানা দ্রব্যের ওপর বসানো শুল্কসমূহের একটি বিস্তৃত তালিকা দিয়েছেন। ১৭৯৭ সালে ভারতীয় ক্যালিকোর ওপর ইংল্যান্ডে আমদানি শুল্কের হার ছিল ১৮ শতাংশ। ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭ পূর্ণ ১/২ শতাংশ। মসলিনের ওপর শুল্ক ছিল ৩৭ পূর্ণ ১/২ শতাংশ এবং চিনির ওপর শুল্ক ছিল চিনির দামের তিন থেকে চার গুণ। এই আঘাত প্রতিযোগিতায় ভারতীয় বণিকরা পিছু পা হতে থাকে।

৬. মূলধনের ঘারতি : অষ্টাদশ শতকে ইংল্যান্ডে পর্যাপ্ত মূলধনের জোগানের ফলে সেখানকার শিল্প উৎপাদন আরও সহজ হয়ে যায়। কিন্তু এই সময় ভারতে মূলধনের অভাবনীয় ঘারতি ছিল। তা ছাড়া কোম্পানি দীর্ঘদিন যাবত ভারতের অর্থ সম্পদ শোষণ করে বিলেতে পাচার করলে এদেশের দারিদ্র্য সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পায়। ইংরেজ সরকার ভারতে শিল্পের উন্নতি না ঘটিয়ে ভারতকে কাঁচামাল সরবরাহকারী দেশ হিসেবে গড়ে তোলার নীতি গ্রহণ করে। ফলে মূলধন ও কাঁচামালের অভাবে ভারতে শিল্পের বিকাশ বিঘ্নিত হয়।

৭. অত্যাচার : ভারতীয় শিল্পী ও কারিগরদের ওপর ইংরেজ সরকারের অত্যাচার ও বঞ্চনা দেশীয় শিল্পের যথাযথ ক্ষতি করে। বাংলার তাঁতিরা কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হত তা উইলিয়াম বোল্টস্-এর রচনায় জানা যায়। কোম্পানির কর্মচারী ও দালালরা তাঁতিদের অগ্রিম দাদন নিতে এবং শুধু ব্রিটিশ কোম্পানির জন্য সুতিবস্ত্র বুনতে বাধ্য করত। দাদন গ্রহণকারী তাঁতিরা লোকসান স্বীকার করে বাজারের থেকে অন্তত ২০ থেকে ৪০ শতাংশ কম মূল্যে তাদের বস্ত্র বিক্রি করতে বাধ্য থাকত। ১৭৬৭ সালে ভেরেলস্ট লেখেন, বহু তাঁতি তাদের ব্যাবসা ছেড়ার কারণে ঢাকা, বারাণসী, মুরশিদাবাদ, আগ্রা, সুরাট, আমেদাবাদ প্রভৃতি স্থানে জনশূন্য ও শ্রীহীন হয়ে পড়ে।

অবশিল্পায়নের ফলাফল :

মোগল শাসনকালে ভারত ছিল বিশ্বের বৃহত্তম অনুৎপাদী অর্থনীতিসমৃদ্ধ দেশ। কিন্তু অষ্টাদশ শতকের মাঝ বরাবর ভারতে রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে ব্রিটিশরা এদেশে রাজনৈতিক আধিপত্য স্থাপনে সমর্থ হয়। ভারতীয় শিল্পের ধ্বংসের ফলাফল ছিল গভীর ও সুদূরপ্রসারী সেগুলি ছিল-

১. বেকারত্বের হার : দেশীয় কুটিরশিল্প ধ্বংসের কারণে ভারতের বিপুল সংখ্যক হস্তশিল্পী ও কারিগর কাজ হারায়। নরেন্দ্রকৃষ্ণ সিংহের মতানুসারে, শুধুমাত্র বাংলাতেই ১০ লক্ষ মানুষ কাজ হারিয়েছিল। কর্মচ্যুত হওয়ার ফলে দেশে  বেকারত্বের সমস্যা দেখা দেয়।

২. গ্রামীণ অর্থনীতিতে ডাঙন : অবশিল্পায়ন এর ফলে ভারতের গ্রামীণ অর্থনীতিতে ভাঙন দেখা দেয়। স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রামগুলির দারিদ্র্য বেড়ে যাওয়ার ফলে সেখানে অর্থনৈতিক সমস্যা তীব্রতর হয়। অর্থনীতি পুরোপুরি ভাবে কৃষিনির্ভর হয়ে পড়ে। গ্রামে কৃষি মরসুম ছাড়া অন্য সময় মানুষের কাজ না থাকায় মানুষের গড় আয় যথেষ্ট কমম যায়।

৩. কাঁচামাল রপ্তানিকারক দেশ : অব-শিল্পায়নের ফলে ভারতবর্ষ একটি কাঁচামাল রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়। এখানকার কাঁচামাল সস্তায় ক্রয় করে ইংরেজ বণিকরা ইংল্যান্ডে রপ্তানি করতে থাকে। ভারতের কাঁচা তুলো, কাঁচা রেশম, নীল, চা প্রভৃতি কাঁচামাল নিয়মিত বিলাতের কারখানাগুলিতে চলে যেতে থাকে। এর ফলে ভারত শিল্পপ্রধান দেশ থেকে কৃষিপ্রধান দেশে পরিণত হয় এবং ইংল্যান্ডের শিল্পায়নে গতি আসে।

৪. কৃষির ওপর প্রভাব : অব শিল্পায়নের ফলে বেকারত্ব শিল্পী ও কারিগররা বিকল্প কোনো কর্মসংস্থানের সুযোগ না পেয়ে কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত হয়। ফলে আপাতত জমির অনুপাতে মানুষের সংখ্যা বেড়ে যায় যার ফলে তাদের জীবিকা নির্বাহে চাপ সৃষ্টি হয়। এভাবে দেশে কৃষিজীবী ও ভূমিহীন কৃষকের পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পায়।

৫. নগরজীবনের অবক্ষয় : অবশিল্পায়ন এর ফলে এদেশের প্রাচীন ও সমৃদ্ধ শহরগুলির অবক্ষয় দেখা দেয়। অষ্টাদশ শতকে ঢাকা, সুরাট, মুরশিদাবাদ, মসুলিপট্টম, তাঞ্জোর সহ বিভিন্ন  স্থান ছিল শিল্পসমৃদ্ধ ও ঘনবসতিপূর্ণ নগর। শিল্প-বাণিজ্য ধ্বংসের ফলে এসব নগর ক্রমাগত জনবিরল হতে থাকে এবং নগরের অবক্ষয় শুরু হয়। এ প্রসঙ্গে মুরশিদাবাদে কোম্পানির রেসিডেন্ট Mr.বেচার মন্তব্য করেছেন যে, “ব্রিটিশদের অপশাসনের ফলে ২০ বছরের মধ্যেই দেশের সুবিশাল জায়গা প্রায় মরুভূমির রূপ ধারণ করেছে।”

৬. বিলাতি পণ্য আমদানি : দেশীয় শিল্পের ধ্বংসের ফলে ভারত রপ্তানিকারক দেশ থেকে একটি আমদানিকারক দেশে পরিণত হয়। বিলাতের ম্যাঞ্চেস্টার, ল্যাঙ্কাশায়ার ও অন্যান্য জায়গার শিল্পজাত পণ্য ভারতে আমদানি চালু হয়। ১৭৮০ সালে ইংল্যান্ড থেকে ভারতে আমদানি করা দ্রব্যের দাম ছিল ৩ লক্ষ ৮০ হাজার পাউন্ড। ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে এই আমদানির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৮০ লক্ষ পাউন্ড। ১৮১৮ সালে ইংল্যান্ড তৈরি সূক্ষ্ম রেশমের কাপড় ভারতের বাজারে বিরাজমান করে। ১৮৩৭ সালে এই পরিমাণ বৃদ্ধি হয়ে দাঁড়ায় ৬ কোটি ৪০ লক্ষ গজ।

৭. দারিদ্রতা বৃদ্ধি : শিল্প বাণিজ্য ধ্বংসের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হলে ভারত একটি গরিব দেশে পরিণত হয়। অব শিল্পায়নের ফলে ভারতের অর্থনীতি পুরোপুরি ধ্বংস হয় এবং দারিদ্রতা বৃদ্ধি পায়। দারিদ্র্য, মহামারি, দুর্ভিক্ষ ভারতীয় জনজীবনের নিত্যসঙ্গী হয়ে ওঠে।

পরিশেষে বলা যায় যে, কেবল মাত্র সুতিবস্ত্রই নয় রেশম ও পশমজাত দ্রব্য,লোহা, কাচ, মৃৎশিল্প, অস্ত্রশস্ত্র, ঢাল তলোয়ার, খোদাই ও কারুকার্যের সাথে জড়িত নানা দেশীয় শিল্প শিল্পগুলি ধ্বংস হয়। দেশীয় শিল্পের ধ্বংসের ফলে ভারতের দারিদ্র্য আরও বেড়ে যায়। শিল্প বাণিজ্য থেকে বিপুল মানুষ কৃষিকাজে যোগ দিলে জমির উপর চাপ সৃষ্টি হয়। Dr. বিপান চন্দ্র, Dr. সব্যসাচী ভট্টাচার্য, Dr. অমিয় বাগচি, Dr. তপন রায়চৌধুরী প্রমুখ অবশিল্পায়নকে একটি বাস্তব ঘটনা বলে মনে করেন।

আরও পড়তে নজর রাখুন :

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কারণ ও ফলাফল ? 

স্বপ্তবিলোপ নীতি কাকে বলে ? স্বপ্তবিলোপ নীতির শর্ত ও প্রয়োগ ? 

Leave a Comment